জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন তো আমরা অনুসরণ করবো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাথে যে মানুষটি নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সেই বঙ্গমাতার জীবন দর্শন, আদর্শও আমাদের সকলের অনুসরণ করতে হবে, পালন করতে হবে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর ছায়া ছিলেন। তাঁর কারণেই বঙ্গবন্ধু ‘বঙ্গবন্ধু’ হতে পেরেছিলেন। এটি আমাদের স্মরণ করতে হবে। আমাদের নারীদের আজকে সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।
আজ ৮ আগস্ট বিকেলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গমাতার জীবন দর্শন তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, অত্যন্ত অল্প বয়সে বঙ্গমাতার বিয়ে হয়েছিল। তৎকালীন সামাজিক পরিবেশে এটি অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। কিন্তু বিয়ে হওয়ার পরেই একজন নারীর জীবন শেষ-এই কথা বঙ্গমাতা কখনো মনে করেন নি। বিয়ে একজন নারীর জীবনে অন্তিম চাওয়া এখনো আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষের মনে এই মানসিক ধারণা হয়ে আছে। এই ধারণা ভাঙ্গা দরকার। বঙ্গমাতার জীবন থেকে এই আদর্শটি প্রথমে আমরা আমাদের নারীদের নিতে বলবো। সংসার ধর্ম পালন করেও দেশের জন্য অনেক কিছু করা যায়।
তিনি আরও বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সারা বাংলাদেশে যে পরিমান স্থাপনার নামকরণ হওয়ার কথা ছিল তেমনটা হয় নি। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ের মেয়েদের দুটি হলের একটি এমনকি সবচেয়ে বড় ছাত্রী হলটির নাম এই মহিয়সী নারীর নামে করা হয়েছে। সেজন্য আমরা সকলেই গর্ব করতে পারি। এই হলের যারা ছাত্রী উঠেছে, যারা প্রথম উঠেছে তাদের জন্য এটি আরও বেশি গর্বের। এই হলকে নিজের বাড়ি মনে করে হলের পরিবেশ এখানকার ছাত্রীদেরকেই ঠিক করতে হবে।
হল প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে মাননীয় উপাচার্য হল প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন ও একটি বৃক্ষরোপণ করেন।