দেশের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা ‘ক্যাপিটালাইজার ২০২২’ আয়োজিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এবং পৃষ্ঠপোষক ছিল মেটলাইফ। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১৩০টি দল নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য ৬টি দল নির্বাচিত হয়।
‘ক্যাপিটালাইজার ২০২২’ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর ‘এডভার্স সিলেকশন’। এই দলের সদস্যরা হলেন নাফিস কাজি, মাহিমা তাবাসসুম এবং তাহমিদ আহনাফ। বিজয়ীরা ফিন্যান্স ও ব্যাঙ্কিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দল, যথাক্রমে ‘ওভাররাইটার্স’ এবং ‘ফ্লোর প্রাইস’। প্রতিযোগিতাটির সহযোগী পার্টনার ছিল প্রথম আলো।
‘ক্যাপিটালাইজার ২০২২’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মাদ জয়নুল বারী। গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের মাননীয় উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম, এনডিসি, এএফডাব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেটলাইফ এর বাংলাদেশ, মালয়শিয়া, নেপাল ও ভিয়েতনাম অঞ্চলের প্রধান এলেনা বুটারোভা এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আলা আহমদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সহ-উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন। সাথে উপস্থিত ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজিবিএম (বার), পিএইচডি।
ক্যাপিটালাইজার প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, আলা আহমদ বলেন, “আমরা ক্যাপিটালাইজার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য আমাদের সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে পেরে আনন্দিত। এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণাত্মক এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা প্রদর্শন ও বিকাশের সুযোগ দেয়। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রতিযোগিতা থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারীদের ব্যবসায়িক খাতে সফল ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।”
বিইউপি ফিন্যান্স সোসাইটির মডারেটর সহকারী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, “আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং পুঁজি বিনিয়োগে বেশকিছু জটিল কৌশলের আশ্রয় প্রয়োজন হয়। আর এই কৌশলগুলির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত এবং সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে লাগে সূক্ষ্ম সংখ্যাগত দক্ষতা ও উপস্থিত বুদ্ধির। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এই বছরের ‘ক্যাপিটালাইজার ২০২২’-এর ফাইনালিস্টরা প্রতিযোগিতায় এতদূর আসার জন্য তাদের যোগ্যতা এবং সৃজনশীলতার প্রমাণ দিয়েছে। আমি প্রতিটি দলকে অভিনন্দন জানাই, এবং আমি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী কারণ বিজয়ীরা তাদের সমাধানগুলোতে যথেষ্ট দক্ষতা এবং পরিপক্কতা দেখিয়েছে।“