সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বিজয় উৎসব ২০২২ এ ঢাকার তিনটি মঞ্চে ‘বাজিকর’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটির ২৬,২৭,২৮তম মঞ্চায়ন যথাক্রমে ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে ১৪ ডিসেম্বর, রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ১৫ডিসেম্বর, দনিয়া বিজয় উৎসব মঞ্চে ১৬ ডিসেম্বর। ‘বাজিকর’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় আছেন আশিক সুমন। প্রযোজনা অধিকর্তা মনি পাহাড়ী।
বাজিকর নাটকে দুটি চরিত্র। একটি বাজিকর অন্যটি বানর। নাট্য কাহিনীতে দেখা যায় বাজিকর বানরকে দিয়ে নানান রকম খেলা দেখিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করে। ঘটনাচক্রে একসময় বানর বাজিকরের ক্ষমতা পেয়ে যায়। সে তখন বাজিকরকে দিয়েই বানরের খেলা দেখানোর পায়তারা শুরু করে। ক্ষমতা পেয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করতে চায়। কিন্তু তার বিদ্যার দৌড় খুব বেশি নয়। বুদ্ধির প্যাঁচে একসময় সে বাজিকরের কাছে হার মেনে যায়। আবারও ফিরে যায় নিজ কাজে। ভুল মানুষের কাছে ক্ষমতা গেলে তার পরিণাম কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সে ইঙ্গিত পাওয়া যায় ” বাজিকর” নাটকে।
দুটি ভিন্ন চরিত্রের যৌক্তিক কথপোকথনে নির্ধারিত হয় সত্য মিথ্যার মানদন্ড!
বাজিকর আর বানর চরিত্র দু’টিতে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে আশিক সুমন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। কস্টিউম ডিজাইনে আজিজুল হক লিমন, সংগীতে লিটন টোকন, আজিজুল হক লিমন, রিপন হোসাইন রনি, সবুজ।
মাত্র দুটি চরিত্রের নাটক হলেও দর্শকের মনোযোগের এক মুহূর্ত বিঘ্ন ঘটে না। চরিত্রদ্বয়ের সংলাপের পিঠে সংলাপ, সংগীত, কোরিওগ্রাফি, প্রপসের যথাযথ ব্যবহার, দর্শকের সাড়া, স্বল্প সময়ের এই বাজিকর নাটকটি মুহূর্তেই দর্শককে এক নাট্যভ্রমণের সঙ্গি করে নেয়। মাত্র ২০ মিনিটের এই নাটকে দর্শকও যেন বাজিকর আর বানরের খেলার অংশ হয়ে যায় নিমিষেই। নাটক শেষে তাই দর্শক উপলব্দি করেন একটি ভিন্ন ঘরানার পথনাটক। যে নাটকে দর্শক খুঁজে পায় সেই হিসাব-নিকাশ যেই পাল্লার দোলাচলে দুলছে তাঁদের বাস্তব জীবন পরিক্রমা। ‘বাজিকর’ নাটক এর সার্থকতা সেখানেই।