বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০Dedicate To Right News
Shadow

ঢাকা ডক ল্যাব ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী

Spread the love

আগামী ২৭মে শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফুলার রোডস্থ মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্র। ‘বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় সম্প্রতি এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসরত তৃণমূল জনগোষ্ঠী এবং নদীর পাশে বসবাসরত অঞ্চলের মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতাই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মূল উপজীব্য। প্রামাণ্যচিত্রগুলো হল: বাংলাদেশ থেকে আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও শামসুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলস থেকে ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম ও লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত শি সেলস শেলফিশ।

এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক টম মিশোশা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে চারটি প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক, প্রযোজক ও প্রামাণ্যচিত্রের চরিত্রদের পরিচয়পর্ব এবং একটি অংশগ্রহণমূলক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠাতব্য বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এ আয়োজনের লক্ষ্য পরিবেশের সুরক্ষায় সচেতনতা ও পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করা। ঢাকা ডক ল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ চলচ্চিত্র প্রকল্প। প্রামাণ্যচিত্রগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করতে চার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডক ল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন। সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সাথে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে করা হয়েছে। এ প্রকল্পে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন প্রোগ্রাম আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং অন্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্ব তৈরি এবং উদীয়মান শিল্পীদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় ৪১টি দেশের ৯৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *