একটা আঁচল ঢাঁকতো শরীর ছোট্ট শিশুকালে
সেই আঁচলটাই আবার ভরসা হলো একটু বড় হলে।
অসুখ হলে মা আঁচলটা দিয়ে রাখতো জড়িয়ে বুকে
বুকের উষ্ণতায় পেতাম আরাম থাকতাম মহা সুখে।
কোথাও গেলে রোদে পুড়ে,
যখন যেতাম ঘেমে
পরম আদরে মুছে দিতেন ঘাম নিজের আঁচলে।
গিঁটে বাঁধা আঁচলের কোনায় থাকতো বাঁধা টাকা আনা
সেটাই তখন অনেক ছিলো অনেক কিছু যেত কেনা।
খেয়ে উঠেই মুছতাম হাত মুখ মায়ের আঁচলে
আঁচলটাতেই মুছতাম চোখ কোথাও কষ্ট পেলে।
কতো বায়না ধরেছি মায়ের আঁচল খানি টেনে
কতোই না ভরসা পেতাম মায়ের নরম আঁচলটাতেই।
সেই আঁচল বিহীন জীবনটা আজ খড়তাপে ভাজা
ছেঁড়া আঁচল হলেও তাতে খূঁজে পেতাম মজা।
দুহাতে আঁচল তুলে মা করতো দোয়া কতো
বালা মছিবত দূরে পালাতো হলেও শতশত
আবারও ইচ্ছে করে মায়ের আঁচলের তলে লুকাই
সকল হতাশা বাঁধতাম গিঁটে সেথা যদি পেতাম ঠাঁই!