বুধবার, এপ্রিল ২৪Dedicate To Right News
Shadow

Tag: গুলশান চৌধুরী

গুলশান চৌধুরী’র কবিতা “মায়ের আঁচল”

গুলশান চৌধুরী’র কবিতা “মায়ের আঁচল”

শিরোনাম, সাহিত্য
একটা আঁচল ঢাঁকতো শরীর ছোট্ট শিশুকালে সেই আঁচলটাই আবার ভরসা হলো একটু বড় হলে। অসুখ হলে মা আঁচলটা দিয়ে রাখতো জড়িয়ে বুকে বুকের উষ্ণতায় পেতাম আরাম থাকতাম মহা সুখে। কোথাও গেলে রোদে পুড়ে, যখন যেতাম ঘেমে পরম আদরে মুছে দিতেন ঘাম নিজের আঁচলে। গিঁটে বাঁধা আঁচলের কোনায় থাকতো বাঁধা টাকা আনা সেটাই তখন অনেক ছিলো অনেক কিছু যেত কেনা। খেয়ে উঠেই মুছতাম হাত মুখ মায়ের আঁচলে আঁচলটাতেই মুছতাম চোখ কোথাও কষ্ট পেলে। কতো বায়না ধরেছি মায়ের আঁচল খানি টেনে কতোই না ভরসা পেতাম মায়ের নরম আঁচলটাতেই। সেই আঁচল বিহীন জীবনটা আজ খড়তাপে ভাজা ছেঁড়া আঁচল হলেও তাতে খূঁজে পেতাম মজা। দুহাতে আঁচল তুলে মা করতো দোয়া কতো বালা মছিবত দূরে পালাতো হলেও শতশত আবারও ইচ্ছে করে মায়ের আঁচলের তলে লুকাই সকল হতাশা বাঁধতাম গিঁটে সেথা যদি পেতাম ঠাঁই!...
গুলশান চৌধুরীর গল্প “নিষ্ঠুর নিয়তি”

গুলশান চৌধুরীর গল্প “নিষ্ঠুর নিয়তি”

শিরোনাম, সাহিত্য
রমনা পার্কে হাঁটতে হাঁটতে সুপ্তি কিছুটা শান্তি অনুভব করে। তার এই এক স্বভাব, কোনো কিছু হলেই হলো, অমনি জোড়ে জোড়ে হাঁটবে আর হাঁটার মধ্যে নানা রকম সমস্যা গুলো সমাধানের চেষ্টা করবে। আজও তেমনি একটা সমস্যার সমাধান সে করতে চায় কিন্তু কিছুতেই পারছেনা। কারণ আইনের মানুষ হয়ে সে কিছুটা অন্যায় করে ফেলেছে। সুপ্তি সিনিয়র একজন উকিল অথচ একজন জুনিয়রকে দিনের পর দিন হায়, হ্যালো করে যাচ্ছে। কারণ আছে, ছেলেটি অনেক মেধাবী। অনেক কিছুই সুপ্তির বুঝতে কষ্ট হয় কিন্তু বাদল এতো সহজ করে বুঝিয়ে দিবে যে, তার আর কোনো সমস্যাই থাকে না। আরও একটা কারণ আছে, আগে যে সমস্ত সমস্যা সে নিজে কষ্ট করে সমাধান করত এখন বাদলের উপর দিয়ে নিজে আরাম করে। এ ভাবেই ছেলেটি আস্তে আস্তে তার কাছে চলে এসেছে। আর কিই বা করবে, আমানকে আজকাল ঠিকমতো সে কাছে পাচ্ছে না। তাই বাদলই তার একপ্রকার সুখ দুঃখের সাথি বলা যায়। বাদলও নাছোর বান্দা, প্রতিদিন ...
গুলশান চৌধুরীর বড় গল্প “কবি”

গুলশান চৌধুরীর বড় গল্প “কবি”

শিরোনাম, সাহিত্য
সুতপাদের গ্রামে এক কবি এসেছে। কি যেন সব তথ্য উপাত্ত জানতে। বেশ কিছুদিন থাকবে। কবিকে পেয়ে গ্রামের সব শ্রেণী পেশার মানুষ অনেক আনন্দিত। শিক্ষিত, মার্জিত আধুনিক কবি। কবিও যার সাথেই দেখা হয় তার সাথেই সালাম বিনিময় করে। গ্রামের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে কি সব মানুষের কাছে থেকে জানে। সবাই তাকে সাহায্য করে। সুতপার বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে নাকি ইতোমধ্যেই অনেক ভাব জমে গেছে। ওর বান্ধবী দেখা হলেই শুধু কবির গল্প। করবেই বা না কেন, কবি তো ওদের বাড়িতেই উঠেছে। সুতপার বান্ধবী অনু কবির সব কথা সুতপাকে বলে। কি করে, কি খাবার পছন্দ করে, কয়টায় ঘুমায়, কখন ঘুম থেকে ওঠে ইত্যাদি ইত্যাদি। সে সবেমাত্র পাশ করে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হয়েছে, লালন গবেষক। অনুরা গ্রামের সব থেকে ধনী। বাইরে থেকে কেউ এলে ওদের বাড়িতেই সবাই থাকে। অতিথি থাকার জন্য একটা আলাদা বড় ঘরই আছে। বেশ কয়েকটা রুম। একসাথে বেশ কয়েকজন অতিথি...
গুলশান চৌধুরীর কবিতা “শিরোনামহীন”

গুলশান চৌধুরীর কবিতা “শিরোনামহীন”

শিরোনাম, সাহিত্য
শিরোনামহীন প্রচারবিহীন অন্তর্মুখী তুমি জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়েছো জ্ঞান বিলাতে ওগো জ্ঞানতাপস ধ্যানী! নিরলস প্রচেষ্টা আর আরাধনা শেষে নীরবে নিভৃতে সহজ সরল সমাধানেই চাও নিস্পত্তি। প্রচার প্রচারনার ধার না ধেরে অগ্নিকুণ্ডের আলোর ন্যায় উদ্ভাসিত লৌহমানব কে হে তুমি? মাঝে মাঝে তব সামনে আসো, মনের গহীনে নাড়া দিয়ে, অনুভূতি জাগিয়ে আবার উধাও কোথায় তোমার নিবাস? এ তোমার কেমন নির্মমতা? জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটেনা অনুভূতিগুলো যখন জ্ঞান অন্বেষণে দ্যোদুল্যমান তখনই তোমার প্রস্থান! শুধু ভাবাতেই আসো জ্ঞানের পাঠ চুকিয়ে স্বর্গের সুখ নিয়ে দুটি আত্মা যখন একাকার হতে ব্যস্ত! তখন তৃষিত পিপাসার্ত অন্তরাত্বা তোমাতেই স্বঁপে আনন্দে আত্মহারা, ভরা পূর্ণিমার রজনীতে ক্লান্ত বিনিদ্র। পিলখানা ঢাকা ২০.৮.২২...