বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫Dedicate To Right News
Shadow

বঙ্গবন্ধু কর্তৃক আইটিইউ সদস্য পদ অর্জনের ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডাকটিকেট অবমুক্ত

Spread the love

৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সদস্যপদ অর্জনের ৪৮তম বার্ষিকী। ১৯৭৩ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ আইটিইউ এর সদস্য পদ লাভ করে –উন্মোচিত হয় টেলিযোগাযোগ দুনিয়াায় সাথে বাংলাদেশের স্বর্নালী দ্বার। দিবসটি উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড উদ্বোধন করা হয়। মন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি সীলমোহর ব্যবহার করেন। তিনি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

মন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, আইটিইউ-এর সদস্য পদ অর্জন ছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ফসল। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন ও নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার জন্য বেতার তরঙ্গ নির্ধারণ, স্যাটেলাইট অরবিট বরাদ্দকরণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে নিয়োজিত জাতিসংঘের এই বিশেষায়িত সংস্থার মূল কাজ বলে তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু এই প্রতিষ্ঠানটির সদস্য পদ অর্জনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের সাথে আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন, টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং ইউপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজটিকে অংকুরিত করেন।পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘ ২১ বছরের স্থবিরতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে অংকুরিত বীজটিকে চারা গাছে রূপান্তর করেন । এ সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়াসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয় বলে মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন।

অথচ ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে তৎকালীন সরকার বিনা টাকায় সাবমেরিন সংযুক্তি থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়া থেকে বাংলাদেশকে ১৪ বছর পিছিয়ে দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাাদেশ কর্মসূচি গত ১২ বছরে বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১০ সালে এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আইটিও-এর কাউন্সিল সদস্য পদে নির্বাচিত হয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প এবং ২০১৮ সালে সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম (সিবিভিএমপি) সল্যুশনটি আইটিইউ টেলিকম এওয়ার্ড লাভ করে। এছাড়াও ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ ‘ উইসিস ’পুরস্কার পেয়ে আসছে। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, সর্বশেষ ২০২১ সালে সিবিভিএমপি স্যালুশনটি ‘ উইসিস প্রাইজ ২০২১’ এ উইনার খেতাব প্রাপ্ত হয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উইসিস সম্মেলনে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালনের বিরল গৌরব অর্জন করেছে।

স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *