শুক্রবার, এপ্রিল ১৯Dedicate To Right News
Shadow

সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর দেশের ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ৫ শতাংশ

Spread the love

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ এর তথ্য অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং বাংলাদেশে বছরে প্রায় আনুমানিক ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর দেশের ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ৫ শতাংশ। এ তথ্যগুলোই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের মূল প্রবন্ধে উঠে এসেছে। আজ ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০:৩০ টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর আয়োজনে এর সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে করণীয় শীর্ষক সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু ৮ম বৃহত্তম এবং মৃত্যুর ৯০ শতাংশ নিম্ম ও মধ্য আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। নিরাপদ ও পথচারী বান্ধব সড়ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত দ্বিতীয় ডিকেড অ্যাকশান ফর রোড সেফটির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” প্রনয়ণ করে। আইনটি এবছর আবারো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সুপারিশ আইনের বিশেষ কিছু দিক যেগুলো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সেগুলো সংশোধন করা; যেমন-গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা, মটরসাইকেলে আরোহীর ক্ষেত্রে মানসম্মত ও যথাযথভাবে হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দেওয়া, গাড়ি বা যানবাহনে চালকসহ সকল যাত্রীদের সিট বেল্ট পরিধান বাধ্যতামূলক করা, পরিবহনে বিশেষ করে ছোট গাড়িতে শিশুদের জন্য নিরাপদ আসন ব্যবস্থা রাখা ; সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য যে সকল সংস্থা কাজ করছে তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন, আইন ও নিয়মের যথাযথ প্রয়োগ, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা অবলম্বন করা, যেমন: হেলমেট, সিটবেল্ট, গতিসীমা ও শিশু সিট সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় সভায় সড়ক দুর্ঘটনা সর্ম্পকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট , করণীয় এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ- এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে আমরা যারা সড়ক ব্যবহার করছি তাদের অসচেতনতা ও অসাবধনতা; দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো; যত্রতত্র ওভারটেক করা, রাস্তা পারাপারের সময় ফুটওভার ব্রীজ বা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করা; রাস্তা পারাপারের সময় ফোন ব্যবহার/ ফোনে কথা বলা ইত্যাদি। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ। তবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ শুধু সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয় । এর জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং সরকারি ও বেসকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য শাখা / অধিদপ্তর/ সংস্থার প্রতিনিধি , সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা/ এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *