
এই বছর বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রাঙ্গনে বহুল আলোচিত দুটি ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ও ‘নোনা জলের কাব্য’ কানাডার দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা MISAFF-এ তিনটি পুরস্কার জয় করেছে। ‘নোনাজলের কাব্য’ ছবির পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পেয়েছেন ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ এবং চিত্রগ্রাহক চানানুন চোতরুনগ্রজ পেয়েছেন ‘শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক’-এর পুরস্কার। আর আজমেরী হক বাঁধন জিতে নিয়েছেন ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী’ পুরস্কার।
গত বছর বহুল আলোচিত ভারতীয় ছবি ‘নাসির’-এর পরিচালক অরুন কার্তিক ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’-এর পুরস্কার জিতেছিলেন। আর এ বছর বিচারকেরা ‘নোনাজলের কাব্য’ প্রসঙ্গে বললেন – ‘এই ছবির অসাধারণ গল্প, চিত্রগ্রহণ, নির্মাণের প্রেক্ষাপট, জলবায়ু সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, এবং সবার অভিনয় আমাদের মনে দাগ কেটেছে। চানানুন চোতরুনগ্রজ ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত অসম্ভব দুর্গম একটি জায়গার দুর্লভ কিছু চিত্র ধারণ করেছেন।’
MISAFF-এর পরিচালক আরশাদ খান বলেছেন – ‘নোনাজলের কাব্য’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করলো, এমনকি দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্রের জন্যও এটি নতুন একটি মানদণ্ড।’ বছরের শুরুতে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘শ্রেষ্ঠ এশীয় চলচ্চিত্র’ – NETPAC পুরস্কার জিতে ‘নোনাজলের কাব্য’।
গেল কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। রেহানা নামে মেডিকেল কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপকের জীবন সংগ্রামের গল্পে নির্মিত এ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এবারের ‘এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড’ আসরের সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও জিতেছেন বাঁধন।
নোনা জলের কাব্য’ ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়।
লন্ডন, বুসান ও সিঙ্গাপুর চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা ছবি দুটি এই মুহূর্তে ঢাকার ষ্টার সিনেপ্লেক্স প্রেক্ষাগৃহে চলছে।