সোমবার, এপ্রিল ২৯Dedicate To Right News
Shadow

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরী: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা

Spread the love

তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কোন বিকল্প নেই। আজ (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এ বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর সহায়তায় তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী বর্তমানে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে কোম্পানিগুলো খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা যেমন, ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল, ই-সিগারেট ও ভেপিংপণ্য পণ্য নিষিদ্ধকরণ, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন বন্ধ এবং খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ প্রভৃতি বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তামাক নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সর্বোত্তম নীতিগুলো পর্যালোচনার ভিত্তিতেই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ খসড়া সংশোধনীতে এসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করেছে। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে খসড়া সংশোধনীটি দ্রুত পাশ করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদ্য প্রকাশিত (২০২৪) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামাক কোম্পানির অব্যাহত হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। বর্তমানে (২০২২) বিশ্বে প্রতি ৫ জনে ১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন, যা পূর্বে (২০০০) ছিল ৩ জনে ১ জন। বাংলাদেশেও তামাকের ব্যবহার কমেছে। তবে এখনো ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) তামাক ব্যবহার করেন এবং তামাকের কারণে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ মারা যায়। এই ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সাংবাদিক কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সিটিএফকে- বাংলাদেশ এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *