আঞ্চলিক রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। গ্রেড ৮-১০ এ অধ্যয়নরত ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ৬টি টিমকে বিভিন্ন একাডেমিক বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা করা হয়।
ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপ একটি বার্ষিক দলগত অ্যাকাডেমিক প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রতি বছর ৬৫টিরও বেশি দেশের ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিতর্ক ও যোগাযোগ, সমালোচনামূলক চিন্তা (ক্রিটিকাল থিংকিং), গবেষণা এবং সহযোগিতা সহ অন্যান্য দক্ষতা বিকাশের সুযোগ তৈরি করে। ২০২৪ সালে সারা বাংলাদেশ থেকে ৩৬০ জন শিক্ষার্থী এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন।
আইএসডি থেকে অংশগ্রহণকারী ছয়টি টিমকে শিল্প ও সঙ্গীত, সাহিত্য ও মিডিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ইতিহাস সহ অন্যান্য একাডেমিক বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা টিম ডিবেট, কোলাবোরেটিভ রাইটিং, স্কলারস চ্যালেঞ্জ ও স্কলারস বোল এই চারটি রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ডিবেট শোকেস ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য সেরা বিতার্কিকদের মধ্যে থেক দু’জন আইএসডি শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। ইভেন্টে আটজন শীর্ষ বিতার্কিক দর্শকদের সামনে মঞ্চে বিতর্ক করেন।
আইএসডি থেকে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন বিভাগে (ক্যাটাগরি) বেশ কয়েকটি রৌপ্য এবং স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। ১৭জন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত ছয়টি নির্বাচিত টিম ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে, যা জুন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকু, ব্যাংকক, সিউল এবং স্টকহোমে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী রাউন্ডে সাফল্য আইএসডি’কে নিয়ে যাবে সরাসরি ‘টুর্নামেন্ট অব চ্যাম্পিয়ন্সে’। সমাদৃত ইউএস আইভি লিগ স্কুল ইয়েল ইউনিভার্সিটি আগামী নভেম্বর মাসে এই রাউন্ড আয়োজন করবে। বাংলাদেশ থেকে মোট ৪০টি দল গ্লোবাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
আইএসডি থেকে নির্বাচিত একটি টিমের সদস্য ও গ্রেড-৯ এর শিক্ষার্থী এফাজ নূর চৌধুরী বলেন, “ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ আমরা জন্য চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা ছিল এবং এই প্রতিযোগিতা আমাকে আমার কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই প্রোগ্রামে আমি আমার চিন্তাশক্তি ও গবেষণা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে একটি বিষয়কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করার সুযোগ পেয়েছি।”
আইএসডি’র ডিরেক্টর স্টিভ ক্যাল্যান্ড-স্কোবল বলেন, “ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপে অংশগ্রহণ এবং গ্লোবাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হওয়া আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা এ পর্যায়ে পৌঁছাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছে এবং তাদের ফাইনালে দেখতে পাব বলে আমি আশাবাদী।”