বুধবার, এপ্রিল ২৩Dedicate To Right News
Shadow

১লা বৈশাখ “শেষের কবিতা”

Spread the love

বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর আবারও মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের দর্শক নন্দিত নাটক ‘শেষের কবিতা’। নাটকটি এবার সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে, নতুন ভাবনায় মঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছে। লাবণ্য চরিত্রে নূনা আফরোজ অভিনয় করলেও এবার অমিত চরিত্রে থাকছে নতুন চমক। আগামী ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) চৈত্র সংক্রান্তির দিন সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নতুনভাবে ‘শেষের কবিতা’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। এবং ১লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৭টা) একই মিলনায়তনে নাটকটির আরও একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস থেকে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হিরা আর নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। এটি দলের ৬ষ্ট প্রযোজনা এবং ৪৫তম ও ৪৬তম মঞ্চায়ন।

‘শেষের কবিতা’ নাটকে অভিনয় করেছেন- অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, ইউসুফ রাসেল, সাহেদ সরদার, গুলশান বহ্নি, নাসরীন মিশু, বাঁধন সরকার, তমা হোসেন, সীমান্ত আমীন, তন্বী ইসলাম মিষ্টি, ফাহিম মুনতাসির, নাঈম হাসান ও ফারজু ফারহান। ‘শেষের কবিতা’ নাটকে মঞ্চ করেছেন ফয়েজ জহির, আলো ঠান্ডু রায়হান ও তোফিক আজীম রবিন, সংগীত রামিজ রাজু, পোশাক নূনা আফরোজ, কোরিওগ্রাফি ইভান শাহরিয়ার সোহাগ ও রূপসজ্জা জনি সেন।

শেষের কবিতা নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৭ বছর বয়সে লেখা বহুলপঠিত একটি বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস শেষের কবিতা’র নাট্যরূপ। শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমূখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দূর্লভ অবসরে দুজন দুজনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিনতি ভালোবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাশ করবে, এমনি করেই তাঁর জীবন কাটবে ভেবেছিলো সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিস্কার করলো সেও ভালোবাসতে পারে। আর অমিত তো মেয়েদের কাছে সোনার রঙের দিগন্ত রেখা, ধরা দিয়েই আছে, তবু ধরা দেয় না। রুচির তৃঞ্চা মিটিয়ে কত সুন্দরী মেয়েদের পাশ কাটিয়ে এসেছে এতকাল। সেই অমিত বন্দি হলো লাবণ্যর প্রেমে।

অমিত লাবণ্যকে বিয়ে করতে অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু লাবণ্যর মন তাতে সায় দেয় না। অনেক তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমানের পর অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে সিদ্ধান্তে পৌছায়, ঠিক সেই সময় অমিতের বন্ধু কেতকী শিলং গিয়ে উপস্থিত হয়। কেতকীর সাথে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল এবং সে সময়টাতে অমিত কেতকীকে ভালোবেসেই একটি আংটি পরিয়েছিলো। লাবণ্যর সাথে অমিতের বিয়ের খবর শুনে কেতকী সে আংটি খুলে রাগে অভিমানে অশ্রুসিক্ত নয়নে শিলং ছেড়ে চেরাপুঞ্জি চলে যায়। অমিত যে আংটিটি লাবণ্যকে পরিয়েছিলো সেটিও লাবণ্য ফিরিয়ে দেয় অমিতকে অর্থাৎ অমিত দু’জনের কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অমিত কি করবে ভেবে পায় না।

ক’দিন পর চেরাপুঞ্জি থেকে ফিরে এসে অমিত দেখে লাবণ্য চলে গেছে শিলং ছেঁড়ে। অমিত ফিরে যায় কলকাতায়। তারও কিছুকাল পরে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয় কেতকীর এবং তারও কিছুদিন পর লাবণ্যর একটি চিঠি আসে অমিতের কাছে। সে চিঠির এক পাশে ছয়মাস পর শোভনলালের সাথে লাবণ্যর বিয়ের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *