সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৬Dedicate To Right News
Shadow

সাহিত্য

রিপন শান এর কবিতা “মুখরিত সুরের আঁতাত”

রিপন শান এর কবিতা “মুখরিত সুরের আঁতাত”

শিরোনাম, সাহিত্য
আমারেনি ভূইলা গেলা বন্ধু তুমি শখের করাত নিদারুণ শিহরিত সময়ের শীৎকার বাগানে গোলাপ ফোঁটে চুপিচুপি কারুকাজে ফোটে না আমার বরাত । আলিঝালি স্বপ্ন দেখা রাতের রাসবিহারী কঠিন ভ্রমণ বালিশে লেপ্টে থাকে কান্নার বালুকনা চক্ষুমন্ত ঘুমদেশে নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি কালের প্রপাত তবুও জাগে না আমার বরাত । আমারেনি ভূইলা গেলা সূর্য ওঠা সুখের প্রভাত বজ্রপাতে হতাহত জীবনের ব্যাকুলতা তপোবনে গন্ধরাজ ছড়ায় দারুণ সুবাস অন্যদিকে ঢাকে মুখ মহানন্দা কবিতার মৌতাত । অদ্ভুত বাঘের পিঠে সওয়ারি অলীক রাখাল মাঝেসাঝে বাজায় বাঁশি আজনাবি সকাল-সন্ধ্যায় বৃন্দাবনে কুস্তি করে কীর্তিনাশা অসুরের দল কবিকুঞ্জে রাতদিন মুখরিত সুরের আঁতাত। আমারেনি ভূইলা গেলা সুজনসখী মহাপ্রভাত !!! আমারেনি ভূইলা গেলা পরাণপাখি আদমসূরাত !!!...
মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারী নাহিদের কবিতা “অপারগতার গ্লানি”

মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারী নাহিদের কবিতা “অপারগতার গ্লানি”

শিরোনাম, সাহিত্য
(উৎসর্গ: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে সফল হলো সেইসব ছাত্রদের প্রতি)   আমায় একমুঠো সেই ধুলো মেখে দাও, যেখানে লুটিয়ে পড়েছিল সাঈদ। এক রাশ অক্সিজেন রেখে দাও, যা শেষ মুহূর্তে নিয়েছিল মুগ্ধ। আমাকে সেই বুলেটটা এনে দাও, যা করেছিল ফাইয়াজকে স্তব্ধ। আমি তা নিয়েই সান্ত্বনা নিব, আর নিজেকে ধিক্কার দিব, অপারগতার গ্লানি নিয়ে।   প্রতিবাদী সাঈদের হাতে যে লাঠিটা ছিল, কেউ কি আমায় এনে দিতে পার? আমি অপার যত্নে রেখে দিব। যদি কোন দিন বিজয় আসে... আমি ছুটে যাব উদ্ধত নিশান নিয়ে। অসাম্প্রদায়িক সেই কেতন হাতে ছুটে বেড়াবো সব রাজপথ।   যেখানে শ্লোগানে মুখরিত ছিল অধিকার আদায়ের। যেখানে অবলীলায় পড়ে ছিল অসংখ্য ধর্মনিরপেক্ষ লাশ। আমি ছুটে যাবো সেই অন্ধকারে, যেখানে সবকিছু নিভিয়ে নির্বিচারে চলেছিল গুলি। আমি অক্লান্ত পথ হারাবো সেই পথে, যেখানে সঙ্গীর তৃষ্ণা মেটাতে "পা...
গুলশান চৌধুরী’র কবিতা “মায়ের আঁচল”

গুলশান চৌধুরী’র কবিতা “মায়ের আঁচল”

শিরোনাম, সাহিত্য
একটা আঁচল ঢাঁকতো শরীর ছোট্ট শিশুকালে সেই আঁচলটাই আবার ভরসা হলো একটু বড় হলে। অসুখ হলে মা আঁচলটা দিয়ে রাখতো জড়িয়ে বুকে বুকের উষ্ণতায় পেতাম আরাম থাকতাম মহা সুখে। কোথাও গেলে রোদে পুড়ে, যখন যেতাম ঘেমে পরম আদরে মুছে দিতেন ঘাম নিজের আঁচলে। গিঁটে বাঁধা আঁচলের কোনায় থাকতো বাঁধা টাকা আনা সেটাই তখন অনেক ছিলো অনেক কিছু যেত কেনা। খেয়ে উঠেই মুছতাম হাত মুখ মায়ের আঁচলে আঁচলটাতেই মুছতাম চোখ কোথাও কষ্ট পেলে। কতো বায়না ধরেছি মায়ের আঁচল খানি টেনে কতোই না ভরসা পেতাম মায়ের নরম আঁচলটাতেই। সেই আঁচল বিহীন জীবনটা আজ খড়তাপে ভাজা ছেঁড়া আঁচল হলেও তাতে খূঁজে পেতাম মজা। দুহাতে আঁচল তুলে মা করতো দোয়া কতো বালা মছিবত দূরে পালাতো হলেও শতশত আবারও ইচ্ছে করে মায়ের আঁচলের তলে লুকাই সকল হতাশা বাঁধতাম গিঁটে সেথা যদি পেতাম ঠাঁই!...
গুলশান চৌধুরীর কবিতা “স্পর্শ”

গুলশান চৌধুরীর কবিতা “স্পর্শ”

শিরোনাম, সাহিত্য
এসো প্রিয় চলো কোজাগরী চাঁদের পূর্ণিমার আলোয় সাঁতার কাটি নিশিথে সমুদ্রের নিনাদে যেখানে জলের রাজ্যে জলপরীরা জাগে। ভালোবাসা সেতো এক মহা সুখ সাগরের নাম তাকে কেন্দ্র করেই মিনকুমার আর মিনকুমারী জলকেলিতে সায়রে নিত্য মিলনে মাতে। সাগর সঙ্গমে আনন্দ উল্লাসে মাঝে মাঝেই তীরে দেখা মেলে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে হয় চোখাচোখি আমিও বিভোর হই অবাক চেয়ে থাকি। অস্ফুটো স্বরে বলি মিনকুমার এতো সৌন্দর্য তোমার! আর মিনকুমারী সেতো সাগরের উপহার। অবশেষে নিষাদে নিনাদে জেগে সাগরের তীর থেকে কাকডাকা ভোরে সমতলে তোমার স্পর্শ নিয়েই ফিরতে চাই শুকনো পাতার মর্মর শব্দ মাড়িয়ে!!...
মনিরা পারভীনের কবিতা “বঙ্গকন্যা ও জাতির পিতা”

মনিরা পারভীনের কবিতা “বঙ্গকন্যা ও জাতির পিতা”

সাহিত্য
  নীল আকাশে চাঁদটি যখন সরল মনে হাসে তখন আমার হৃদয় মাঝে তার ছায়াটি ভাসে কাশবনের ঐ সাদায় যখন বাতাস খেলা করে আমি তখন তার কাহিনী পড়ি হৃদয় ভরে নদীর জলে নৌকা যখন ঢেউয়ের দোলায় দোলে আমি তখন তাকে ভাবি সকলকিছু ফেলে ঘাসের উপর শিশিরকনা যখন এসে পড়ে আমি তখন তার সমাচার দেখি নয়ন ভরে। এতো আবেগ এতো ত্যাগ এমন কন্ঠস্বর লড়াই করলেন নিঃস্বার্থে সারা জীবনভর মুক্তিপাগল এই দেশের দামাল ছেলের দল এক হয়ে তার কথায় বললো সবে চল মুক্ত করে দেশের মাটি ফিরব তবে ঘরে যায় যদি জীবন যাবে নিজ দেশেরই তরে। স্বপ্ন তার পূরণ হলো মুক্তি এলো দেশে বিধ্বস্ত বাংলা গড়লেন পরম ভালোবেসে ১৫ আগষ্ট ভয়াল রাতে কী সব হয়ে গেলো সপরিবারে জাতির পিতা কেমনে শহিদ হলো! কন্যা তার দুখের সাগর পাড়ি দিয়ে শেষে বাবার মতো সকল গড়েন দেশকে ভালোবেসে হলদে পাখি যখন ডাকে জুঁই কদমের শাখে বঙ্গকন্যা তাহার মাঝে বাবার ছবি দ...
রিফাত রহমানের কবিতা “দ্রোহের দহনে”

রিফাত রহমানের কবিতা “দ্রোহের দহনে”

শিরোনাম, সাহিত্য
পাল তোল হাল ধরো মুক্ত করো ভয় আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়, দ্রোহের দহনে জ্বলছি সেই জন্মের প্রথম সকালে! আজ ওরা শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে এই চেতনার বুক কচলিয়ে। ধর্মের নামে শক্তির স্বপক্ষে যুক্তি তলে, যারাই মৃত্যুতে করে উল্লাস। মনে রেখ মানুষই মরছে ভয়ংকর সত্য বলে মিছিলে হাত উঠিয়ে বলতে হবে এভাবে মানুষ মারা চলবে না,মানুষ কে বাঁচতে দাও!! বিস্মৃত আমি হতবাক অবাঞ্ছিত প্রশ্ন শত, খাচ্ছে মনে ঘুরপাক! অনুভূতি রা গুমরে মরে শব্দহীন কথার ফাঁকে অশ্রু শুধু হৃদয়ে ঝরে অব্যাক্ততার ঘূর্ণিপাকে। লাল সাদা রঙিন লেবাসে দূর থেকে দেখতে কত সুন্দর কাছে আসলে বিষাদের মতো কালো...… আজ মানুষ আকাশের মতো নিঃশব্দে নিঃসঙ্গ। আমার কলম আগুন জ্বালায় প্রতিটা দাড়ি, কমা,সেমিকোলন অন্যমনস্ক হয়ে দেওয়া ফুটচি কত একক ভাবেই এক একটা নিউট্রন বোমা আমার কলমের কায়দা করে টানা, এক ঝটকায় উড়িয়ে দিতে চাই হিরোশিমা নাগা...
একুশে বইমেলায় সাড়া ফেলেছে এম মিরাজ হোসেনের ‘তবু ফুল ফুটুক’ এবং ‘ব্যাখ্যাতীত’

একুশে বইমেলায় সাড়া ফেলেছে এম মিরাজ হোসেনের ‘তবু ফুল ফুটুক’ এবং ‘ব্যাখ্যাতীত’

শিরোনাম, সাহিত্য
এবারের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখক এম মিরাজ হোসেন এর চতুর্থ উপন্যাস ‘তবু ফুল ফুটুক’। গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত এই উপন্যাসটি ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বয়সের পাঠক প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নওরোজ কিতাবিস্তানের স্টলে। বইটি সম্পর্কে লেখক এম মিরাজ হোসেন জানান, “তবু ফুল ফুটুক বইটি একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে রচিত। প্রত্যন্ত একটি গ্রাম রসুলপুরের একটি পরিবারের সাথে ঘটতে থাকা অদ্ভুত, নিদারূন এক গল্পকথা ‘তবু ফুল ফুটুক’। এই গল্পকথায় উঠে এসেছে ভালোবাসা ও সংসারের বিভিন্ন টানাপোড়ন। বইটি প্রায় সব বয়সী পাঠকেরা পছন্দ করছে। যদিও এবারের বইয়ের বাজার বেশ চড়া তারপরেও বইটি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যে বইটির দ্বিতীয় মূদ্রন শেষ হয়ে তৃতীয় মূদ্রন চলছে। নতুন বইয়ের পাশাপাশি আমার গতবছরের ‘ব্যাখ্যাতীত’ বইটিও ভালো বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এর তৃতীয় মূদ্রন শেষ হয়ে চতুর্থ মূদ্...
বইমেলায় এ কে ফেরদাউছ আহমেদের প্রথম কবিতার বই ‘আনাবিয়া এবং জলনূপুর’

বইমেলায় এ কে ফেরদাউছ আহমেদের প্রথম কবিতার বই ‘আনাবিয়া এবং জলনূপুর’

শিরোনাম, সাহিত্য
অমর একুশে বইমেলায় এসেছে এ কে ফেরদাউছ আহমেদ-এর প্রথম কবিতার বই 'আনাবিয়া এবং জলনূপুর'। বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব সাহিত্য ভবন। প্রচ্ছদ করেছেন লেখক নিজেই। দাম ২৫০ টাকা। বইটি পাওয়া যাবে মেলার মাঠে বিশ্ব সাহিত্য ভবন প্যাভিলিয়নে। ০১৭১১৫৬১৯৯০ নম্বরে যোগাযোগ করে অনলাইনেও কেনা যাবে। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ কে ফেরদাউছ আহমেদ-এর প্রথম কবিতার বই 'আনাবিয়া এবং জলনূপুর'-এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। উৎসব অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য কবিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেবেন। প্রকৌশল কর্মযজ্ঞে ডুবে থাকা সারা দিনমান, অথচ মন পরে থাকে জীবনের বাঁকে বাঁ...
একুশে গ্রন্থমেলায় পিতা-পুত্রের পাঁচ বই

একুশে গ্রন্থমেলায় পিতা-পুত্রের পাঁচ বই

শিরোনাম, সাহিত্য
এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে পিতা দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরী ও তার পুত্র নাট্যকার ড. মুকিদ চৌধুরীর মোট পাঁচটি বই। এর মধ্যে দ্রোহী কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরীর (১৯২৯-১৯৯৬) প্রয়াণদিবস (২৩ ফেব্রুয়ারি) ও জন্মদিবস (১ মার্চ) উপলক্ষ্যে অনিন্দ্য প্রকাশ নিয়ে এসেছে ‘স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা (আগস্ট ১৯৪৭ - মার্চ ১৯৭১)’ গ্রন্থটি। স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা গ্রন্থের মূল উপজীব্য বাংলাদেশের ইতিহাস (আগস্ট ১৯৪৭ - মার্চ ১৯৭১)। স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা গ্রন্থে অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ-পর্যালোচনা-গবেষণা-তথ্য ও সহজপাঠ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস (আগস্ট ১৯৪৭ - মার্চ ১৯৭১) অনুধাবনের চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাসের কলেবর অযথা বৃদ্ধি না করে, গবেষণা ও উপযোগী তথ্য নির্দিষ্ট পরিধির মধ্যে সীমিত রেখে, প্রয়োজন অনুযায়ী ও নির্বাচিত ঘটনাবিষয়ের ওপর যথোপযুক্ত...
বইমেলায় আসছে স্যামুয়েল হক’র ‘কবিতায় স্যামুয়েল’

বইমেলায় আসছে স্যামুয়েল হক’র ‘কবিতায় স্যামুয়েল’

শিরোনাম, সাহিত্য
অমুর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩- এ প্রকাশিত হবে লেখক ও গবেষক স্যামুয়েল হকের কবিতার বই ‘কবিতায় স্যামুয়েল’। বইটি প্রকাশ করেছে জি-সিরিজ প্রকাশনী। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন খাদেমুল জাহান। এর মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। পাওয়া যাবে বাতিঘর প্রকাশনীর স্টলে। বইটির প্রত্যেকটি কবিতা সহজ ভাষায় চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার সবগুলো কবিতায় ফুটে উঠেছে জীবন-জগতের ভাববিন্যাস। কবি অন্তর খুঁড়ে যে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে লালিত্য। কবিতা আপন জগতের বাহিরে রূপান্তরিত জগতে নিয়ে যায় পাঠককে। রূপান্তরিত জগতে নিয়ে যাবার কবিতা দিয়েই ‘কবিতায় স্যামুয়েল’ কবিতা গ্রন্থটির অবয়ব দেয়ার চেষ্টা করেছেন কবি। বইটি সম্পর্কে স্যামুয়েল হক বলেন, কবিতার এ বইটি মানব বোধকেও জাগ্রত করবে। তার কারণ এই গ্রন্থে শব্দের ভেতর আশ্রয় নিয়ে আছে সময়, ইতিহাস ও রহস্যের সাবলীল উচ্চারণ। উল্লেখ্য, পাঠকদের সমৃদ্ধ করতেই প্রকাশিত হলো লে...