শুক্রবার, এপ্রিল ১৯Dedicate To Right News
Shadow

সাহিত্য

গুলশান চৌধুরীর গল্প “নিষ্ঠুর নিয়তি”

গুলশান চৌধুরীর গল্প “নিষ্ঠুর নিয়তি”

শিরোনাম, সাহিত্য
রমনা পার্কে হাঁটতে হাঁটতে সুপ্তি কিছুটা শান্তি অনুভব করে। তার এই এক স্বভাব, কোনো কিছু হলেই হলো, অমনি জোড়ে জোড়ে হাঁটবে আর হাঁটার মধ্যে নানা রকম সমস্যা গুলো সমাধানের চেষ্টা করবে। আজও তেমনি একটা সমস্যার সমাধান সে করতে চায় কিন্তু কিছুতেই পারছেনা। কারণ আইনের মানুষ হয়ে সে কিছুটা অন্যায় করে ফেলেছে। সুপ্তি সিনিয়র একজন উকিল অথচ একজন জুনিয়রকে দিনের পর দিন হায়, হ্যালো করে যাচ্ছে। কারণ আছে, ছেলেটি অনেক মেধাবী। অনেক কিছুই সুপ্তির বুঝতে কষ্ট হয় কিন্তু বাদল এতো সহজ করে বুঝিয়ে দিবে যে, তার আর কোনো সমস্যাই থাকে না। আরও একটা কারণ আছে, আগে যে সমস্ত সমস্যা সে নিজে কষ্ট করে সমাধান করত এখন বাদলের উপর দিয়ে নিজে আরাম করে। এ ভাবেই ছেলেটি আস্তে আস্তে তার কাছে চলে এসেছে। আর কিই বা করবে, আমানকে আজকাল ঠিকমতো সে কাছে পাচ্ছে না। তাই বাদলই তার একপ্রকার সুখ দুঃখের সাথি বলা যায়। বাদলও নাছোর বান্দা, প্রতিদিন ...
অন্বয় প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা

অন্বয় প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা

শিরোনাম, সাহিত্য
অন্বয় প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কারের জন্য ছড়া-কবিতা বিভাগে মনোনীত হয়েছেন জাতিসত্তার কবি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। দেশের সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্বয় প্রকাশের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে অন্বয় প্রকাশ থেকে প্রকাশ হওয়া লেখকদেরকে ইতিমধ্যে ‘অন্বয় প্রকাশ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, অন্বয় প্রকাশ থেকে মুহম্মদ নূরুল হুদার 'হুদা-কথা' গ্রন্থটি প্রকাশ হয়েছে। এই বইটি অন্বয় প্রকাশের প্রথম পাঁচটি বইয়ের একটি। এটি ছিল অমর একুশে বইমেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ কালের বই। এটি অন্বয় প্রকাশের একটি উল্লেখযোগ্য বই হিসেবে পরিগণিত। শুধু অন্বয় প্রকাশের উল্লেখযোগ্য বই বললে ভুল হবে। কাব্যপ্রেমিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। বিশেষ করে নতুন কবিদের জন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 'হুদা-কথা'য় আছে দর্শন, ভাবদর্শন, বিষয়-দর্শন, দেশপ্রেম, মা-মাটি, বীজবুনন বা ভূমিকর্ষণের ভ্রূণকথ...
মোঃ আঃ রহিম এর কবিতা “সংস্কৃতির ব্যাকরণ”

মোঃ আঃ রহিম এর কবিতা “সংস্কৃতির ব্যাকরণ”

শিরোনাম, সাহিত্য
সং অর্থ মানু্ষ আর কৃতি তার কর্ম মানুষের জীবন ধারাই সংস্কৃতির মর্ম। আমরা আছি যা তা হলো সংস্কৃতির সংগা বলেছেন ম্যাকাইভার বই সমাজবিদ্যা। একাংশের পথচলা নয়তো সংস্কৃতির শর্ত অধিকাংশে করে যা তা সংস্কৃতির অঙ্গ। সংস্কৃতি চলমান ধীরে ধীরে বদলায় অধিকাংশে মেনে নিলে পুরাতনটা উড়ে যায়। জন চলে মন চলে চলে সংস্কৃতি সময়ের ব্যবধানে বদলে যায় রীতি। গণহারে পথচলায় যদি বদলে যায় আচরণ ধরে নিন বদলেছে সংস্কৃতির ব্যাকরণ। বিজাতীয় বলে যদি আটকে দিই দরজা ঘরে বসে পাব নাকো ভুবনের সেরাটা। মন্দকে ছুরে মেরে ভালোটাকে বেছে নিই নিজেদের যা ভালো সবকিছু রেখে দিই। কথাবার্তা আচরণ সংস্কৃতির অংশ সবকিছু বদলালে জাতি হবে ধ্বংস। চারিদিকে বাজিবেই নতুনের ডংকা ভালোটাকে বেছে নিলে রবেনাকো শংকা। চীন জাপান নিজেরা নিজেরটায় থেকেছে আরবরা নিজেরাও নিজ ধরে রেখেছে। নিজেদের ছুড়ে মেরে পরকে যে ধরেছে শেকড়টা উপরে ফেলে আর কীবা টি...
ভারতের ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদক পেলেন এম মিরাজ হোসেন

ভারতের ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদক পেলেন এম মিরাজ হোসেন

শিরোনাম, সাহিত্য
সাহিত্যকর্ম ও মানবকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব-২০২২’ -এ ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদক পেয়েছেন বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গীতিকবি ও লেখক এম মিরাজ হোসেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এই স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ পবিত্র সরকার। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুঃ নজরুল ইসলাম তামিজি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার সদস্য শুভাশিস চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে এম মিরাজ হোসেন বলেন, ইন্দিরা গান্ধী শ্রদ্ধেয় মহীয়সী নারী। তাঁর নামে প্রবর্তিত পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি গর্বিত এবং সম্মানিত। পুরস্কারটি আমাকে আগামী দিনে সৃ...
দিনু প্রামানিক এর কবিতা “কথার মালা গাঁথি আমরা”

দিনু প্রামানিক এর কবিতা “কথার মালা গাঁথি আমরা”

শিরোনাম, সাহিত্য
কথার পর কথা কথার মালা গাঁথি আমরা। কত কথা! মিষ্টি দুষ্টু বাবুসোনা বাবার কোল জড়িয়ে, গলা পেঁচিয়ে কথা আর কথা। মিষ্টি মিষ্টি মন জুড়ানো আধো ভাষায় গল্প কথা। বাইরে যাব, খেলনা দিবা পড়ার কথা কিন্তু বলবা না।   কথার পর কথা কথার মালা গাঁথি আমরা কত কথা! সকাল থেকে সন্ধে অবধি এটা নাই, ওটা নাই এই শোনো, আমি এত কথা বুঝি না আমারটা কিন্তু চাই, চাই। এগুলি তো বঊয়ের কথা রাতের রঙে আবার অন্য কথা এই, তুমি! তুমি কিন্তু....!   কথার পর কথা কথার মালা গাঁথি আমরা কত কথা! ব্যস্ত অফিস- লক্ষ রঙের গ্রাহক হাজারো চাহিদা, সাধারণের ভীড়ে। বসের চাহিদা তো আরো, চাই চাই আপনিই পারবেন। করে কিন্তু দেখাবেন। ফাইটার আপনি। ফায়ার!! আপনি পারলে, মোদের বাড়বে মান ।   কথার পর কথা কথার মালা গাঁথি আমরা কত কথা! পাখ পাখালীর- ডানা...
ছোটগল্পের লেখিকা লিপি জেসমিন

ছোটগল্পের লেখিকা লিপি জেসমিন

শিরোনাম, সাহিত্য
লিপি জেসমিন। পেশায় তিনি ব্যাংকার হলেও মনের মাঝে ধারণ করেন লেখক সত্বাকে। আর এ কারণেই হয়তো কাজের ফাঁকে ফাঁকে যখনই অবসর পান লিখতে বসে যান। তবে লেখালেখির জগতে তার আগ্রহের জায়গা জুড়ে গদ্য সাহিত্য। ছোট গল্প লেখার মাধ্যমে আশেপাশের মানুষদের জীবন ও জীবিকার আদৌপান্ত তুলে ধরেন। সেই লেখনি যদি কোন পাঠককের হৃদয়কে আলোড়িত করে তাতেই তৃপ্তি খুঁজে পান লিপি জেসমিন। কুষ্টিয়ার গন্ধ মেখে বেড়ে ওঠা লিপি জেসমিনের নানা জমির বিন জিয়ারত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপর তাঁর বেশ কিছু প্রকাশনা রয়েছে। লেখক নানার প্রভাব তাই লিপি জেসমিনের উপর স্বভাবতই এসে পড়েছে। একারণে অজান্তেই হয়তো লিপি জেসমিন নানার উত্তরসূরি হিসেবে লিখে চলেছেন। লিপি বলেন, তার নামটি মূলত তার নানাই রেখেছেন। লিপির ইংরেজি স্ক্রিপ্ট। অর্থাৎ, নানা যেহেতু লেখক ছিলেন, তাই আমার নামের মাঝেও তাঁর লেখক পরিচয়টিকেই মূলত তিনি প্রতিষ্ঠিত করে...
দিনু প্রামানিক এর কবিতা “এক্কা আর দোক্কা দোক্কা’র খেলা”

দিনু প্রামানিক এর কবিতা “এক্কা আর দোক্কা দোক্কা’র খেলা”

শিরোনাম, সাহিত্য
স্মৃতিগুলি আঁকড়ে ধরতে নয় হয়তঃ মুছে ফেলতে। পুরান এ নয়; নব নতুনের দাপটে। ঝকঝকে চকচকে ঝরা পাতাবিহীন শান বাঁধানো পাড়। এখন আর দোক্কা নয়। একেলা একা, এক্কা। বালি চরগুলি এখন পার্কে রূপ নিয়েছে মুক্ত ভালবাসারা এখানে ভাললাগা’কে স্পর্শ করে সারাদিন ডিগডাগ ডিগডাগ একনাগাড়ে বাজনা বেজে চলে বাজনার তালে তালে শরীর দুলিয়ে চলে, দুলালীরা চটপটি, ফুসকার কড়া ঝাঁঝে; তারা কাঁচা ঠোঁট লাল করে এখানে সবাই একেলা নয়। দোক্কা দোক্কা। ভূল পথে চলছি না তো, আমরা!!! ভূল গ্রাস করছে কি!! নিজেকে এতো একা একা কেনো মনে হয় কেন! নিরাশার বীজ নিয়ে; আকাশসম স্বপ্ন দেখার অভ্যাস যার আকাশসম ভাললাগা নিয়ে, ভালবাসা'রা হাত ধরেছে এগুলি কেমনে বুঝি বোঝায় এগুলি সব এক্কা আর দোক্কা দোক্কা’র খেলা।...
গুলশান চৌধুরীর বড় গল্প “কবি”

গুলশান চৌধুরীর বড় গল্প “কবি”

শিরোনাম, সাহিত্য
সুতপাদের গ্রামে এক কবি এসেছে। কি যেন সব তথ্য উপাত্ত জানতে। বেশ কিছুদিন থাকবে। কবিকে পেয়ে গ্রামের সব শ্রেণী পেশার মানুষ অনেক আনন্দিত। শিক্ষিত, মার্জিত আধুনিক কবি। কবিও যার সাথেই দেখা হয় তার সাথেই সালাম বিনিময় করে। গ্রামের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে কি সব মানুষের কাছে থেকে জানে। সবাই তাকে সাহায্য করে। সুতপার বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে নাকি ইতোমধ্যেই অনেক ভাব জমে গেছে। ওর বান্ধবী দেখা হলেই শুধু কবির গল্প। করবেই বা না কেন, কবি তো ওদের বাড়িতেই উঠেছে। সুতপার বান্ধবী অনু কবির সব কথা সুতপাকে বলে। কি করে, কি খাবার পছন্দ করে, কয়টায় ঘুমায়, কখন ঘুম থেকে ওঠে ইত্যাদি ইত্যাদি। সে সবেমাত্র পাশ করে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হয়েছে, লালন গবেষক। অনুরা গ্রামের সব থেকে ধনী। বাইরে থেকে কেউ এলে ওদের বাড়িতেই সবাই থাকে। অতিথি থাকার জন্য একটা আলাদা বড় ঘরই আছে। বেশ কয়েকটা রুম। একসাথে বেশ কয়েকজন অতিথি...
কবি ও গীতিকার শামসুল আলমের জন্মদিন আজ

কবি ও গীতিকার শামসুল আলমের জন্মদিন আজ

শিরোনাম, সাহিত্য
আজ ২৫ আগস্ট কবি, গীতিকার, শিশুসংগঠক ও শিশুসাহিত্যিক স.ম. শামসুল আলমের ৬০তম জন্মদিন। ১৯৬২ সালের এই দিনে তিনি রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলাধীন শিকজান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা এস. এম. শাহজাহান আলী ও মা সালেহা শাহজাহান। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া, শব্দরম্য, কলাম, নাটক, গান ইত্যাদি মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮৫। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ আমার বঙ্গবন্ধু, সমকলম, স্বপ্নভূমি, ছড়াসমগ্র, কিশোর সমগ্র, সমকবিতা, কিশোর গল্প সমাহার, কিশোর কবিতা সমাহার, মুক্তিযুদ্ধের ছড়া কবিতা, চমক দেব ধমক দেব, দাঁড়াবার পা কোথায়, অর্ধেক চুম্বন, আমার মনের আকাশ জুড়ে, মায়ের অলংকার, হেসে ফাটে দম, খাস কামরা, গদ্যগান, কালুখালি জংশন ইত্যাদি। কবি ও শিশুসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি পেলেও ইতোমধ্যে স.ম. শামসুল আলম গীতিকার হিসেবে সুধীমহলের দৃষ্টি কেড়েছেন। তাঁর লেখা গানে কণ্ঠ ...
লিটন আব্বাস এর “চা-পাতার গপ!”

লিটন আব্বাস এর “চা-পাতার গপ!”

শিরোনাম, সাহিত্য
গপটি বহু পুরনো, সেই ব্রিটিশ আমলের। যখন আমরা তাদের কলোনির কেঁচো বাসিন্দা ছিলাম। এইসব গপশপ নিয়ে চা-শপে নিত্য তাল ওঠে চৌমাত্রিক! চুমুক থামে না কারও, আড্ডার এক একজন আর্দালী যেনো আস্তো একেকজন দার্শনিক, কতো জানবুঝ! আহারে কতো কথা..! চায়ের চুমুকে কতো আন্দোলন হয়েছে, থাপ্পরের পর থাপ্পর পরেছে, হাততালিও কম পরে নি, তখনো নাকে লাগেনি কলোনির নষ্ট ঘ্রাণ, এখনও একইরকম আছে, হৈচৈ আছে, আড্ডার সাথে চলে আলাপ ; বিষয় বৈচিত্র ভাঙতে, আমরা ইতিহাসে ঢুকে, পড়ি নীলচাষীদের আর্তনাদের করুণ কাহিনি! ঢুকে দেখি নীলচাষের ইউটোপিয়া টোপ হয়ে শিকারীর বড়শিতে বিঁধে প্রায় সর্বত্র আনন্দ, কল্পনা, বেদনার রাজত্ব একই রকম চলছে, কেবল সময়ের মেটাফর মাত্র! চায়ের আড্ডায় কাপ-পিরিচ কখনো সখনো ভাঙলেও চুমুক চলে গরমজল গিলে গিলে পেট ভর্তি করে যার যার বাড়ি ফেরা আর চা শ্রমিকদের আন্দোলনের কতোদিন পার হলো হিসেব করতে করতে দেখা যায় হিশেব মেলার আগেই নড়বড়...